দেবাশীষ চক্রবর্তী বাবু,কলারোয়া: কলারোয়ার ধানদিয়া মাঠে টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন কাজিরুল ইসলাম, কিন্তু সফলতার পেছনে রয়েছে নানা প্রতিকূলতা। নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে টমেটো চাষে সফল হয়েছেন।তিনি বাটরা গ্রামের আব্দুল লতিফ দালালের ছেলে কাজিরুল ইসলাম। তিনি ধানদিয়া মাঠে ১.৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে টমেটো চাষ শুরু করেন, তার নিজস্ব ফান্ডে অর্থ না থাকায় লোন নিয়ে ১.৫ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেন। ধানদিয়া এবং বাটার মাঠে প্রায় ৯৫% টমেটো চাষীদের গাছ পোকার আক্রমণে মারা গেছে, সেখানে কাজিরুল ইসলামের জমিতে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে টিকিয়ে রেখেছেন টমেটো গাছ ,একই সাথে লাগানো টমেটো গাছ অন্যদের মারা গেল কিন্তু কাজিরুল ইসলামের টমেটো গাছ এখনো জীবিত থেকে ফল দিচ্ছেন এর পেছনে রয়েছে কীটনাশকের রহস্য। দেশীয় কোন কীটনাশক টমেটো গাছের পোকা নিধন করতে পারছে না যার কারণে অন্যদের টমেটো গাছ মারা গেছে। তবে কাজিরুল ইসলাম ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন তিনি নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে কীটনাশক আনিয়ে টমেটো গাছের পোকা রোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। যার যার ফলশ্রুতিতে তিনি এখনও ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে টমেটো বিক্রি করতে পারছেন।
সরেজমিনে তার টমেটো ক্ষেত পরিদর্শন করে দেখা গেছে তার জমিতে লাগানো টমেটো গাছ এখনো তরতাজা রয়েছে এবং টমেটো গাছে অজস্র ফল লক্ষ্য করা গেছে। টমেটো চাষী কাজিরুল ইসলাম ইন্ডিয়া থেকে ওস্তাদ নামক একটি কীটনাশক আনিয়ে টমেটোর পোকা নিধনে ভালো ফল পেয়েছেন, আর কীটনাশক ওস্তাদের জন্য তিনি সফল হয়েছেন এমনটাই জানিয়েছেন।
টমেটো চাষী কাজীরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাটরা মাঠে টমেটো চাষের জন্য উপযুক্ত জমি না পাওয়ায় তিনি ধানদিয়া মাঠে ১.৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে টমেটো চাষ শুরু করেছেন এবং টমেটো চাষের জন্য তার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার লোন নিয়ে টমেটো চাষ শুরু করেছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন আগামী বছরে তিনি টমেটো চাষ আরো বেশি জমিতে করবেন, সেইসাথে তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যেটি আসলে বাংলাদেশের কোন কীটনাশক টমেটো গাছের পোকা নিধণ করতে পারছে না। তাই তিনি বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়া থেকে ওস্তাদ নামক কীটনাশকের ব্যবহার শুরু করেছেন এবং তাতে তিনি আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের কীটনাশক কোম্পানিগুলোর কাছে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন কেন তাদের কোম্পানির কীটনাশক টমেটো গাছের পোকা নিধন করতে অসফল?